Political History of Bangladesh

Transcript

অবিস্মরণীয় এক মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে আবির্ভাব হয় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। আয়তনে খুব বেশী না হলেও জনসংখ্যার দিক দিয়ে নব বিকশিত এই রাষ্ট্রটির অবস্থান প্রথম সারিতে। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থা তখন ছিল khub নাজুক। সম্পদের প্রাচুর্যতা বাংলার ভাগ্যে জোটেনি। কিন্তু জাতি, রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের তুলনা পৃথিবীতে বিরল। বিখ্যাত রাষ্ট্র বিজ্ঞানী স্টানলি এ কোচাকেনের মতে, বাংলাদেশে একটি অসাধারণ অভিন্ন জাতিগোষ্ঠী বিদ্যমান।

ঐতিহাসিক বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় যেসব রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে, সেসব রাষ্ট্রেও সাধারণত এত সমগোত্রীয় জনগোষ্ঠি দেখা যায়না। বিষয়টা একটু স্পষ্ট করে বলা দরকার। প্রথমত, ১০০ জন বাংলাদেশীর মধ্যে শতকরা আটানব্বই জনই জাতিগত ভাবে এক ও অভিন্ন। ভাষার দিক দিয়েও তাই। প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ বাংলাতেই কথা বলে। শুধু তাই নয়, ধর্মের দিক দিয়েও এই অঞ্চলের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ মুসলিম। ভেবে দেখেছেন? চট করে এমন আরেকটা দেশের কথা বলতে পারবেন? যে দেশের বিশাল একটি অংশ এক ও অভিন্ন। এ ধরণের জাতিগত বন্ধন যেখানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে সেখানে স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। নানা ধরনের সমস্যা বিদ্যমান থাকলেও সুকান্তের কবিতার মত বার বার বাংলাদেশ মাথা তুলে দাড়িয়েছে বটে কিন্তু তা কখনও স্থির হয়নি। দূঃশাসন আর রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নে বার বার ভেঙে পড়তে হয়েছে তাকে। কিন্তু কেন?

সার্চ অব মিস্ট্রি’র আজকের পর্বে আমরা অনুসন্ধান করব এর পেছনের কারণ। নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশকে নতুন করে সাজাতে কিছু তথ্য আমাদের জানতেই হবে। আওয়াজ তুলতে হবে। বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারণ আপনাকেই করতে হবে। কী ভাবছেন? আপনি রাজনীতি পছন্দ করেন না, তাই তো? শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন। বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারনে ভূমিকা রাখবেন কী রাখবেন না, দিনশেষে সেটা আপনার সিদ্ধান্ত।

চার্লস দ্যগলের একটি বিখ্যাত উক্তি দিয়েই শুরু করি। তিনি বলেছিলেন, politics is too serious a matter to be left on the politicians. অর্থাৎ, রাজনীতি খুবই গুরুতর বিষয় যা রাজনীতিবিদদের ওপর ছেড়ে দেওয়া যায় না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কথাটি খাপে খাপ। বাংলাদেশের রাজনীতি এই মুহুর্তে শুধুমাত্র গুটিকয়েক রাজনীতিবিদদের হাতেই বন্দি। তারা যেভাবে দেশটা চালাচ্ছে সেভাবেই চলছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের অদক্ষতা এতটাই প্রকট যে, দেশ কীভাবে চলছে তা তারা নিজেরাও জানেন না।

এই পরিস্থিতীর জন্য কিন্তু আমি-আপনিই দায়ী। আজকাল, একটা কথা হরহামেশাই শুনতে পাওয়া যায়, বাংলাদেশী তরুণরা রাজনীতিতে মোটেই আগ্রহী নয়। সাম্প্রতিক সময়ে করা এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রায় ৫৭ শতাংশ তরুণ রাজনীতিতে মোটেও আগ্রহী নয়। সত্যি কথা বলতে তারা রাজনীতি নিয়ে কোনো ধরনের আলাপই করতে চায়না। তারা ফুটবলের বিভিন্ন লিগ নিয়ে ভাববে, ওয়েব সিরিযে মজবে, রাতভর অন্তর্জালে মাতবে কিন্তু রাজনীতি নিয়ে তাদের কোন কথাই নেই। এর পরিণতি কতটা ভয়ানক, তলিয়ে ভেবেছেন কেউ? চোখের সামনে দেশটাকে ছিন্ন-ভিন্ন করে খাবে কিছু হায়েনার দল কিন্তু আপনি-আমি নির্বিকার দাড়িয়ে থেকে তা দেখব।

শুধু তাই নয়, রাজনীতিতে আগ্রহী নয় এমন তরুণের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু কেন? স্পষ্ট জবাব, একটি অস্বাস্থ্যকর রাজনৈতিক সংস্কৃতি, রাজনৈতিক সহিংসতা এবং বাকস্বাধীনতার অভাব আমাদের মনে রাজনীতির প্রতি তীব্র ঘৃণার সৃষ্টি করেছে।

তৃতীয় বিশ্ব তথা অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষের সাথে দেশের রাজনৈতিক দুরত্ব অনেক বেশী। পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষায় দেখা গেছে এই ধরণের দেশের নির্বাচনে অধিকাংশ মানুষ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে কিন্তু তাদের বেশীর ভাগ মানুষের সাথেই সার্বিক রাজনীতির কোন সম্পর্ক থাকেনা। এদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা কেবল ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে। কোনো ধরনের প্রতিবাদে অংশ নেয়া বা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রবনতা এদের মধ্যে দেখা যায়না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে চিত্রটা কিন্তু আরও জটিল। আমরা তো এখন ভোট প্রদানের মত মহাগুরুত্বপূর্ণ অধিকার নিয়েও ভাবলেশহীন। আমরা এখন যে যার মত টিকে থাকার লড়াই করতে ব্যাস্ত। কিন্তু তাতেও কি স্বস্তিতে আছি আমরা?

না, জাতি হিসেবে খুব বেশী সুখে নেই আমরা। জাতিসংঘ কর্তৃক প্রকাশিত এ বছরের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে- বাংলাদেশে আমরা এখন আর সুখী জাতি নই। ১৩৭ টি দেশের তালিকায়, বাংলাদেশর আবস্থান এখন ১১৮ তম। যা ২০২২ সালের অবস্থান থেকে ২৪ ধাপ নেমে গেছে। অর্থাৎ বিশ্বের শীর্ষ ২০টি অসুখী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের চেয়েও বাংলাদেশের মানুষ এখন বেশী অসুখী।

অন্যান্য জন-গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোর দিকে তাকালেও সুখী হওয়ার কোন উপায় নেই। হ্যা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অনেক আলাপ আপনি প্রত্যেক সরকারের আমলেই শুনবেন। উন্নতি যে কিছু হয়েছে, বাংলাদেশ যে মাথা তুলে দাড়িয়েছে সে কথা আগেই বলেছি। কিন্তু সেটা স্থির হয়নি। এখানে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও তীব্রতর হয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার অতি বাণিজ্যিকীকরণ, দুর্বল সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে আরও কঠিন ও অনিশ্চিত করে তুলেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সম্পদ ও ক্ষমতাকে কেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। ক্ষমতার সাথে সম্পর্কিত এক দল মানুষ আমাদের ব্যাংকিং, জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ খাতের মত মহা গুরুত্বপূর্ণ খাত থেকে বিপুল পরিমান টাকা রীতিমত চুষে খেয়েছে। একটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে এক্ষেত্রে, ২০১৪ সাল থেকে অন্তত এগারোটি ব্যবসায়িক গ্রুপ কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে ৬০ হাজার কোটি টাকা পেয়েছে। সে ক্ষেত্রে দেখা গেছে তাদেরকে বিশাল সুবিধা দেয়ার জন্যেই বিশেষ ব্যবস্থায় চুক্তিগুলি ডিজাইন করা হয়েছিল। বড় বড় দেশি কোম্পানির পাশাপাশি বিদেশি বেশ কিছু কোম্পানি এই লুটপাট ব্যবস্থার ভাগিদার হলেও বারংবার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সাধারন জনগণকে।

তীব্র ডলার সংকটে দেশ, একথা সবাই কম বেশী জানি। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাত পাততে হয়েছে আইএমএফ এর কাছে। কিন্তু আইএমএফ যথারীতি এই সংকট দূর করতে আগ্রহী নয়, বরং তারা তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির দাম বাড়াতে সরকারকে চাপ দিয়ে জনজীবনে নতুন করে চাপে ফেলার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। হ্যাঁ, এই ঋণের ক্ষেত্রেও সুবিধাভোগী আছে; যাদের মধ্যে রয়েছে ক্ষমতাসীন নেতা, আমলা, পরামর্শদাতা এবং সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি-বর্গ। ঋণের বোঝাটার দায় কেবল আমাদের।

কিন্তু এত কিছুর পরেও জাতীয় স্বার্থে আমরা এক হতে পারিনি। এর প্রধান কারণ, জাতিগত ভাবেই আমরা একে অপরের প্রতি বিশ্বাসযোগ্য নই। ডক্টর রহিম, ষাটের দশকে গ্রামের মানুষদেরকে নিয়ে একটি গবেষণা করেছিলেন। তার গবেষণায় দেখা গেছে, পূর্ব বাংলার গ্রামের লোকেরা সব বিষয়ে একজন মুরব্বির পরামর্শ শোনে না। তারা ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মুরব্বির পরামর্শ শোনেন। তিনি ভুল কিছু বলেননি। গ্রাম থেকে নগর তথা বাংলাদেশের সবজায়গাতেই কথাটা খাটে। আমাদের দেশে কেউ কাউকেই বিশ্বাস করতে চায় না। বাংলাদেশের তুলনায় ভারত , চীন এমনকি পাকিস্তানের মানুষেরাও একে অন্যকে অনেক বেশী বিশ্বাস করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে একে অপরের প্রতি ৫৪ ভাগ চীনা নাগরিকের আস্থা আছে, ভারতে আছে ৪১ শতাংশ, পাকিস্তানে ৩০ , নাইজেরিয়ায় ২৫ , এবং বাংলাদেশে মাত্র ২২পার্সেন্ট। আমরা এক সাথে গলাগলি করে গল্প করলেও একে অপরকে বিশ্বাস করিনা। জাতিগত এই সমস্যার প্রভাব আছে গ্রাম থেকে রাষ্ট্রের সর্বস্তরেই।

অবিশ্বাসী বাঙালীদের আরও একটি সমস্যা আছে, শাসকের প্রশ্নে বাঙালী ঐতিহাসিক ভাবেই কিছুটা উদাসীন। শাসক পরিবর্তনে তার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। বাংলাদেশে অনাদিকাল থেকেই কোন একটি শাসন ব্যবস্থা স্থির ভাবে দাড়াতে পারেনি। ৫০০ থেকে ১০০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দক্ষিণ ও পূর্ব বঙ্গে একটি রাজবংশ গড়ে মাত্র ৮০ বছর রাজত্ব করেছে। সুলতানি আমলেও দেখা গেছে একজন সুলতান গরে পাচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পেরেছেন। পরবর্তি সময়েও এ ধারা অব্যাহত ছিল। অথচ এসব শাসক পরিবর্তনে বাঙালির সরাসরি কোন ভূমিকা ছিলনা। মুঘল সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবর এ সম্পর্কে লিখেছিলেন, ‘সার্বভৌম শাসকের ক্ষেত্রে বাঙালি অতি অল্প ক্ষেত্রেই বংশানুক্রমিক উত্তরাধিকার মেনে নেয়। যে কেউ রাজা হত্যা করে নিজেকে রাজা ঘোষণা করলে সৈনিকেরা, কৃষকেরা তাকে তাৎক্ষনিকভাবে মেনে নেয়। বাংলার মানুষ শাসক নয়, মূলত সিংহাসনের প্রতি অনুগত।’

রাজনৈতিক অস্থিতীশীলতার কারণে এই অঞ্চলে নৈরাজ্যও কম হয়নি। খালিমপুর তম্রলিপিতে দেখা গেছে, সপ্তম ও আষ্টম শতাব্দীতে এই ভূখন্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুব নাজুক অবস্থায় ছিলো। ষোড়শ শতাব্দীতে হাবশি ক্রিতদাশেরা এই ভূখন্ডের রাস্ট্রকাঠামো একেবারে ভেঙে দিয়েছিলো। নৈরাজ্যেকর পরিস্থিতে বাঙালী জাতিগতভাবে যে কখনই ঘুরে দাড়ায়নি তা কিন্তু নয়। মতৎস্যন্যায় এর মত পরিস্থিতি যখনই তৈরি হয়েছে তার বিপরীত প্রতিক্রিয়াও বাঙলীদের মধ্যে বিকাশিত হয়েছে।

মৎসন্যায় বলতে বোঝায় মাছের ন্যায় অবস্থা। অর্থাত এমন এক অরাজক পরিস্থিতি যেখানে সমাজের বড় মানুষেরা সমাজের নিচু স্থরের মানুষদের নিঃশ্বেষ করে দেয়। সামাজিক বিভাজন চরম আকার ধারণ করে। মৎসন্যায় পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করতে বাংলায় বিকশিত হয়েছিল মহাসম্মত রাজ ব্যাবস্থার। শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও, সবার সম্মতিতে রাজ্যভার গ্রহণের নজির প্রাচীন বাংলাতেও ছিলো। শাক্য বংশের প্রথম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রাজা মহাসম্মত। গোপালের সিংহাসনে আরোহনের ঘটনাটিও ছিল সবার সম্মতিতেই। বাঙালির একাত্ব হবার মত আরও একটি বিশাল ঘটনা ঘটেছিল বাংলাদেশে। আর তা হলো মুক্তিযুদ্ধ। হাতে গোনা গুটিকয়েক মানুষ ব্যাতিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাধীনতার প্রশ্নে সবাই ছিল এক। যে কারনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ণ হয়েছিল। কিন্তু এত বড় একটা অর্জনের পরও বাঙালী আবার ছিন্ন ভিন্ন হয়েছে। নিজেদের কে আরও বিভক্ত করেছে। স্বাধীনতার পর দৃশ্যমান অনেক উন্নতি হলেও বাঙ্গালির চির আকাঙ্খিত ‘মুক্তি’ এখনও অধরা। সম্রাজ্যবাদের ভয়াল আগ্রাসণ রাত দিন চোখ রাঙাচ্ছে আমাদের দিকে তাকিয়ে। কখনও মার্কিন সম্রাজ্যবাদ, কখনও বা চীনের, ভারত তো ঘাড়ের উপর আছেই।

সম্রাজ্যবাদী অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে একটি কথা আমাদির মনে রাখা দরকার। সম্রাজ্যবাদ কোন দেশে অনুপ্রবেশ করবে এবং কোন দেশে করবে না সেটা নির্ভর করবে সেই দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর। আর এই ভিত্তি নির্ভর করে শাসকশ্রেণীর চরিত্রের উপর. মূলত জনবিচ্ছিন্ন দুর্বল শাসক শ্রেণীর ঘাড়ে ভর করেই সম্রাজ্যবাদ যে কোন দেশে অনুপ্রবেশ করে , বিস্তার করে তার আধিপত্য। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ কোন পর্যায়ে তা যে কারো পক্ষে আন্দাজ করা সম্ভব। ব্যাপারটা এমন যে বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে বিদেশিরা। উত্তাপ , উদ্যোমহীন বাঙালী শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবে। নাম মাত্র একটা স্বাধীন দেশের পরাধীনতার শৃঙ্খল পায়ে পড়া বাঙালীকে দেশের সম্মূর্ণ নাম জিজ্ঞেস করলে সদা হাস্যে সে উত্তর দেবে , ’আমার দেশের নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’! গণপ্রজাতন্ত্রী……! কি সিদ্ধান্ত নিলেন, জানান কমেন্টেসে, জানান রাজপথে!